ঢাকা ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

মাচা পদ্ধতিতে আঙুর চাষে অভাবনীয় সাফল্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় বাড়ির আঙ্গিনায় সবুজ পাতার নিচে বাঁশের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর। যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

তরুণ উদ্যোক্তা ও আইনজীবী সামিউন নবী সামিম জেলায় প্রথম মাচা পদ্ধতিতে আঙুর ফলের চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার প্রত্যাশা অচিরেই দেশের বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ হবে।

জানা গেছে, গত বছর রাজশাহী থেকে দুটি লাল ও দুটি কালো আঙুরের চারা (কাটিং) নিয়ে আসেন সামিম। সেই চারা রোপণ করেন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায়। গত বছর গাছে প্রথম ফল আসে। এ বছর পরিপূর্ণ ফল দেখে তিনি সফলতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। আঙুর মিষ্টি হওয়ায় পরিপূর্ণভাবে গাছের পরিচর্যা শুরু করেন। ফলে দুই বছরের মাথায় প্রথমবারের তুলনায় ৫-৬ গুণ বেশি আঙুর ফল ধরেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার অরুন চন্দ্র রায় সামিমের আঙুর বাগান পরিদর্শন করেছেন। অল্প জায়গাতে অধিক ফলন এবং সুমিষ্ট হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

এলাকাবাসী জানান, সামিমের বাগানের ফরমালিনমুক্ত সুস্বাদু আঙুর খেতে পারছেন তারা। উদ্যোগ নিলেই এটা ব্যাপক আকারে উৎপাদন করা সম্ভব।

সামিউন নবী সামিম জানান, অদম্য ইচ্ছা থেকে চারটি আঙুরের চারা রোপণ করে শুরু করেন বাগান। গত বছর তার আঙুর গাছে ফল ধরে। এ বছরও আঙুরের ভাল ফলন হয়েছে।

তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আলো বাতাস ও পর্যাপ্ত রোদের তাপ থাকে এমন জায়গাতে রোপণ করলে ফলের স্বাদের মিষ্টতা পাওয়া যায়। গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার দিয়ে গাছ রোপণ করতে হবে এবং নিয়মিতভাবে গাছের যত্ন নিতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, আইনজীবী সামিউন নবী সামিমের আঙুর বাগান পরিদর্শন করেছি। সামিম আঙুর চাষ করে ভাল ফলনও পেয়েছেন। যা অনেকটা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে আঙুর চাষ বাণিজ্যিকভাবে করা যাবে কি-না তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে কৃষি বিজ্ঞানীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা

মাচা পদ্ধতিতে আঙুর চাষে অভাবনীয় সাফল্য

আপডেট টাইম : ০৭:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় বাড়ির আঙ্গিনায় সবুজ পাতার নিচে বাঁশের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর। যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

তরুণ উদ্যোক্তা ও আইনজীবী সামিউন নবী সামিম জেলায় প্রথম মাচা পদ্ধতিতে আঙুর ফলের চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার প্রত্যাশা অচিরেই দেশের বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ হবে।

জানা গেছে, গত বছর রাজশাহী থেকে দুটি লাল ও দুটি কালো আঙুরের চারা (কাটিং) নিয়ে আসেন সামিম। সেই চারা রোপণ করেন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায়। গত বছর গাছে প্রথম ফল আসে। এ বছর পরিপূর্ণ ফল দেখে তিনি সফলতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। আঙুর মিষ্টি হওয়ায় পরিপূর্ণভাবে গাছের পরিচর্যা শুরু করেন। ফলে দুই বছরের মাথায় প্রথমবারের তুলনায় ৫-৬ গুণ বেশি আঙুর ফল ধরেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার অরুন চন্দ্র রায় সামিমের আঙুর বাগান পরিদর্শন করেছেন। অল্প জায়গাতে অধিক ফলন এবং সুমিষ্ট হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

এলাকাবাসী জানান, সামিমের বাগানের ফরমালিনমুক্ত সুস্বাদু আঙুর খেতে পারছেন তারা। উদ্যোগ নিলেই এটা ব্যাপক আকারে উৎপাদন করা সম্ভব।

সামিউন নবী সামিম জানান, অদম্য ইচ্ছা থেকে চারটি আঙুরের চারা রোপণ করে শুরু করেন বাগান। গত বছর তার আঙুর গাছে ফল ধরে। এ বছরও আঙুরের ভাল ফলন হয়েছে।

তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আলো বাতাস ও পর্যাপ্ত রোদের তাপ থাকে এমন জায়গাতে রোপণ করলে ফলের স্বাদের মিষ্টতা পাওয়া যায়। গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার দিয়ে গাছ রোপণ করতে হবে এবং নিয়মিতভাবে গাছের যত্ন নিতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, আইনজীবী সামিউন নবী সামিমের আঙুর বাগান পরিদর্শন করেছি। সামিম আঙুর চাষ করে ভাল ফলনও পেয়েছেন। যা অনেকটা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে আঙুর চাষ বাণিজ্যিকভাবে করা যাবে কি-না তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে কৃষি বিজ্ঞানীরা।